ঢাকা,শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

জেলায় লবণ চাষিদের ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক  :: কক্সবাজার জেলায় লবণ চাষিদের ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রান্তিক লবণ চাষীরা।

বিসিক সুত্রে জানা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কক্সবাজার জেলায় ১০৬ জন লবণ চাষিকে ৫০ হাজার টাকা করে ৫৩ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ঋণ বিতরণের বিষয়টি অধিকাংশ প্রান্তিক চাষীদের অজানা। চাষিদের অভিযোগ, ঋণ বিতরণের তালিকা প্রণয়নে চাষীদের জানানো হয়নি। তালিকায় প্রকৃত লবণ চাষিদের অন্তভুর্ক্ত না করে উৎকোচের বিনিময়ে পছন্দের ব্যক্তিদের ঋণ দেওয়া হয়েছে। যারা ঋণ পেয়েছে তাদের অধিকাংশই লবণ চাষি নয়। সম্প্রতি মিলারদের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে জেলাজুড়ে লবণের দামের ব্যাপক দরপতন হয়।

এ নিয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান মহেশখালীতে লবণ চাষিদের সাথে মতবিনিময় করেন। ওই সময় ঋণের বিষয়টি উঠলে লবণ চাষীদের বিসিক কর্মকর্তারা তালিকা দেখাতে পারেননি। পরে তালিকা দেখানো হবে বলে বিসিক কর্মকর্তা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ লবণ চাষি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী বলেন, এখন লবণ আমদানি বন্ধ। কিন্তু মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে লবণের দাম হঠাৎ কমে গেছে। এতে লবণ চাষীরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ নিয়ে লবণ চাষিদের সাথে বৈঠকও করেছেন জেলা প্রশাসক। বৈঠকে লবণ চাষিদের মাঝে ৫৩ লক্ষ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান বিসিক। কিন্তু তারা তালিকা দেখাতে পারেননি। পরে তালিকার জন্য কক্সবাজার বিসিক অফিসে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, তালিকা দিলে লবণ চাষিদের ছোট করা হবে। মূল বিষয় হলো তালিকায় প্রকৃত লবণ চাষিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের ঋণের টাকা দিয়ে লুটপাট করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিক কক্সবাজার এর ডিজিএম জাফর ইকবাল ভূইয়া বলেন, এটাতো ভিজিএফ বা ত্রাণের বিষয় না। আমরাতো টাকা নিয়ে রাস্তা বা বাসায় বাসায় গিয়ে ঘুরবো না। যাদের ঋণ লাগবে তারা আবেদন করবে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কোন সুযোগ নেই।

পাঠকের মতামত: